আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন
দৈনিক সমসাময়িক প্রতিবেদন
২৬ নভেম্বর, ২০২০
বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা আর নেই। ক্রীড়াবিশ্বকে স্তব্ধ করা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে জীবন থেকে বিদায় নিয়েছেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমগুলো জানায়, তিগ্রেতে নিজ বাসায় আজ হার্ট অ্যাটাক হয় তার। হাসপাতালে নেওয়ার পর আর ফিরতে পারেননি তিনি। ৬০ বছরেই তাই অতীত হয়ে যান বিশ্ব ফুটবলের রোমাঞ্চ ছড়ানো এই নাম। এর আগে বেশ কয়েকদিন ধরেই নানান অসুস্থতায় ভুগছিলেন ফুটবলের জাদুকর। তিগ্রে-তে নিজ বাসায় মারা যান ম্যারাডোনা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। গত মাসে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন ম্যারাডোনা। বুয়েনস এইরেসের হাসপাতালে তাঁর মস্তিষ্কে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে থাকা রক্ত (ক্লট) অপসারণ করা হয়েছিল।
১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। পরের বিশ্বকাপেও দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালে। তবে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ডোপ কেলেঙ্কারিতে মাঝপথে নিষিদ্ধ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। খেলা ছাড়ার পর মাদকাসক্তির কারণে বারবার খবরে আসেন তিনি। নানান সময়ে নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে কাটাতে হয়েছে তাকে। ২০১০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচের ভূমিকায় ছিলেন মানুষকে মোহাবিষ্ট করে রাখা এই ফুটবলার। লিওনেল মেসিদের নিয়ে সেবার আনতে পারেননি সাফল্য। তবে ফুটবলীয় স্কিলে দুনিয়ার কোটি কোটি ফুটবল অনুরাগীর মনে তার আসন একেবারেই আলাদা।
১৯৮৬ সাল। মেক্সিকোর এস্তাদিও আজেতেকা স্টেডিয়ামে চলছিলো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল যেখানে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ড। টানটান উত্তেজনার সেই ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ইংল্যান্ডের জালে বল পাঠিয়ে দেন ম্যারাডোনা। পরবর্তীতে রিপ্লেতে দেখা যায় গোলটি তিনি করেছিলেন হাত দিয়ে। কিন্তু তাতে কী? শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়ের হাঁসি ছিলো আর্জেন্টাইনদের মুখে। ‘দ্য হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত সেই গোলদাতা, ফিফার প্লেয়ার অব দা সেঞ্চুরির তালিকাভুক্ত এই পায়ের জাদুকরকে আর দেখা যাবে না মাঠে। মাঠের সেই জাদুকর আজ জীবনের শেষ জাদু দেখিয়ে হারিয়ে গেছেন না ফেরার দেশে। লক্ষ কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বুধবার মারা যান এই কিংবদন্তী ফুটবলার।
দুই সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। হাসপাতাল ছেড়ে ফিরেছিলেন নিজ বাড়িতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিদায় নিতে হলো এই কিংবদন্তী ফুটবল তারকাকে। বিতর্ক থাকলেও অনেকেই তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে মনে করেন। ২০০২ সালে ফিফা অনলাইনের ভোটে ‘শতাব্দীর সেরা গোল’ হিসেবে নির্বাচিত হয় ১৯৮৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে তার করা দ্বিতীয় গোলটি। যেখানে ইংল্যান্ডের ৫ জন ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে ধোঁকা দিয়ে গোলটি করেন তিনি। তার এই গোলটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এস্তাদিও আজেতেকা সামনে স্থাপন করা হয় আর্জেন্টিনাকে দুইবার বিশ্বকাপ এনে দেয়া ম্যারাডোনার ‘গোল অব দ্যা সেঞ্চুরি’র প্রতিমূর্তি।
ক্যারিয়ার শেষভাগে অবশ্য বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ফুটবলার। যার শুরু নিজ ক্লাবের ট্রেনিংয়ে দেরি করে আসা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৭০ হাজার ডলার জরিমানার মধ্য দিয়ে। এরপর একে একে মাদকাসক্তিসহ আরো বেশ কিছু অভিযোগ আসতে থাকে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও বিতর্কিত মন্তব্য, নিয়ম বহির্ভূত আচরণ এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বারবার আলোচনায় উঠে এসেছেন এই শতাব্দী সেরা ফুটবলার। আলোচনা-সমালোচনা যাই হউক না কেনো, ভক্তদের হৃদয় কুঠরে চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবেন দিয়েগো ম্যারাডোনা।
বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার কে? ব্রাজিলের পেলে নাকি আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা। দুনিয়াজুড়ে এই বিতর্ক চলেছে যুগ যুগ ধরে। সেই বিতর্কে তারা নিজেরাও সামিল হয়েছেন অনেকবার। তবে এখন সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে চলে গেলেন একজন। ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনার বিদায়ে শোকস্তব্ধ তার চেয়ে ২০ বছরের বড় পেলে। আর্জেন্টাইন ‘ফুটবল ঈশ্বর’ আর নেই খবরটি জানতে পেরে রয়টার্সের কাছে আবেগভরা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পেলে। পেলে বলেছেন ম্যারাডোনা চলে গেছেন, তার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন তিনিও, ‘খুবই শকিং খবর। এমন একজন বন্ধুকে আজ হারিয়ে ফেললাম। আমার ঈশ্বর তার পরিবারকে শক্তি দিন। আমি নিশ্চিত, একদিন আমরা একসঙ্গে আকাশে ফুটবল খেলব।’ বুধবার আর্জেন্টিনার স্থানীয় সময় বিকেলে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন ম্যারাডোনা। এই ফুটবল জাদুকরকে হাসপাতালে নিয়েও আর বাঁচানো যায়নি। ৬০ বছর বয়েসেই থেমে যান সারা দুনিয়ায় কয়েকপ্রজন্ম জুড়ে রোমাঞ্চ ছড়ানো এই নাম।
পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় দিয়াগো ম্যারাডোনা। তিগ্রেতে নিজ বাসায় আজ হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান এ কিংবদন্তি। আর তার মৃত্যুতে সারা বিশ্বে যেন শোকের মাতম চলছে। অনেকেই যেন মানতে পারছেন না তার চলে যাওয়া। মানতে পারছেন সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও। ম্যারাডোনার সঙ্গে সম্পর্কটা সবসময়ই বেশ ভালো ছিল রোনালদোর। এর আগে অনেকবার একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাদের। সবচেয়ে বড় কথা ম্যারাডোনাকে নিজের অনুপ্রেরণা মেনেই বড় হয়েছেন এ পর্তুগিজ তারকা। এ কিংবদন্তির বিদায়ে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন তিনিও। অনুভূতি জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আপনাকে কখনোই ভোলা যাবে না।’ ফুটবল ঈশ্বরের সঙ্গে তোলা একটি ছবিও আপলোড করেছেন রোনালদো, ‘আজ আমি একজন বন্ধুকে বিদায় জানাচ্ছি এবং বিশ্ব চিরন্তন প্রতিভাকে বিদায় জানালো। একজন সর্বকালের সেরা। একজন অতুলনীয় যাদুকর। খুব দ্রুতই চলে গেলেন, আপনার উত্তরাধিকার কখনো মুছে যাবে না। এ শূন্যস্থান যা কখনই পূরণ হবে না। শান্তিতে বিশ্রাম নিন। আপনাকে কখনোই ভোলা যাবে না।’
ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে তার সম্পর্কটা ছিল আত্মিক, মতাদর্শিক। কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ম্যারাডোনাকে বলতেন, ‘প্রিয় বন্ধু’। যার জন্য তার দ্বার ছিল অবারিত। ম্যারাডোনা ফিদেলের সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার ছিলেন স্পষ্ট সমর্থক। কি আশ্চর্য! মিল থাকল বিদায়েও। ২৫ নভেম্বর। ফিদেলের এই মৃত্যুদিনেই বিদায় নিলেন ম্যারাডোনা। ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর ৯০ বছর বয়েসে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ফিদেল। দীর্ঘজীবন পাওয়া ফিদেলের জন্য সেদিন অশ্রু ঝরেছিল ম্যারাডোনার। প্রতিক্রিয়ায় ‘ফুটবল ঈশ্বর’ বলেছিলেন, ‘আমার বাবার মৃত্যুর দিন যে কষ্ট পেয়েছিলাম, সেই শোক, সেই দুঃখ যেন আজ আমাকে আবার আঁকড়ে ধরল।’
ফুটবলের জাদুকর ম্যারাডোনা দীর্ঘজীবন পেলেন না। তার মৃত্যু হলো ৬০ বছর বয়েসেই। মাদকের গ্রাসের কারণে অনেকবারই নিরাময় কেন্দ্রে কাটাতে হয়েছে তাকে। ফিদেলের দেশ কিউবাতেও নিয়েছেন অনেক চিকিৎসা। তার দীর্ঘজীবন নিয়ে শঙ্কা তাই বরাবরই ছিল। ফিদেলের বিদায়ের দিন তিনি কেঁদেছিলেন। আজ তার বিদায়বেলায় ফিদেল এসব কিছুর ঊর্ধ্বে। হয়ত সেই ‘উর্ধ্বপানে’ তাদের ফের দেখা হচ্ছে বলে বিশ্বাসীদের মনে দিচ্ছে দোলাচল। ফিদেলের কাছে ম্যারাডোনাকে বারবার যেতে দেখা গেছে। যে বা পা দিয়ে মোহাবিষ্ট করে রেখেছিলেন গোটা দুনিয়া। সেই পায়েই ম্যারাডোনা খোদাই করেছিলেন ফিদেলের ট্যাটু। আর হাতে করেছিলেন আর্নেস্টো চে গেভেরার ট্যাটু।
পুরো বিশ্বকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনা। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফুটবল অঙ্গনসহ পুরো ক্রীড়াঙ্গনেই। ক্রিকেটেও ব্যাতিক্রম নয়। শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, শোয়েব আক্তারসহ অনেক ক্রিকেটারই সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন। বুধবার রাতে ক্রীড়াবিশ্বকে স্তব্ধ করে ম্যারাডোনার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। তিগ্রেতে নিজ বাসায় আজ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এ কিংবদন্তির। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি। শৈশবের নায়ককে হারিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ম্যারাডোনার সঙ্গে তোলা একটি ছবি আপলোড করে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি লিখেছেন, ‘আমার নায়ক আর নেই… আমার পাগল প্রতিভা শন্তিতে থাকুন… আমি আপনার জন্য ফুটবল দেখতাম।’
আরেক কিংবদন্তি সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক শচিন টেন্ডুলকার ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ জয়ের ছবি আপলোড করে লিখেছেন, ‘ফুটবল এবং ক্রীড়াবিশ্ব আজ তার অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়েছে। শান্তিতে থাকুন দিয়েগো ম্যারাডোনা! আপনার অভাব পূর্ণ হবার নয়।’ পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আক্তারও জানিয়েছেন নিজের অনুভূতির কথা, ‘খবরটা শুনে খুব খারাপ লাগছে যে কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা চিরবিদায় নিয়েছেন। সকল খেলোয়াড়দের জন্য তিনি বড় একজন অনুপ্রেরণা ছিলেন। তার উত্তরাধিকার সর্বদা থাকবে।’ শ্রীলঙ্কার সাবেক ব্যাটসম্যান রাসেল আর্নল্ড লিখেছেন, ‘ম্যারাডোনার মৃত্যুর সংবাদ শুনে খুবই খারাপ লাগছে। শৈশবে তার খেলা দেখার কি অনুভূতিই না ছিল।’ পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মাহমুদ লিখেছেন, ‘আপনি অনুপ্রেরণা ছিলেন এবং সবসময়ই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ১০ নম্বর জার্সি সারা জীবন তুলে রাখা হবে।’
সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা নিয়েছেন চিরবিদায়। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা বিশ্বে। ম্যারাডোনার চলে যাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার স্বদেশি ফুটবলার ও সময়ের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসিও। বুধবার মারা গেছেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাত ম্যারাডোনা। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তিগ্রেতে নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাক হয় তার। হাসপাতালে নেওয়ার পর আর জ্ঞান ফেরেনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। ম্যারাডোনার স্মরণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে দুটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে মেসি লিখেছেন, ‘সকল আর্জেন্টাইনের ও ফুটবলের জন্য অত্যন্ত দুঃখের একটি দিন। তিনি আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন, কিন্তু ছেড়ে যাননি। কারণ, দিয়েগো অমর।’
বর্ণিল ক্যারিয়ারে মেসিকে বহুবার তুলনা করা হয়েছে ম্যারাডোনার সঙ্গে। ম্যারাডোনার অধীনে তিনি খেলেছেন ২০১০ বিশ্বকাপেও। বার্সেলোনা অধিনায়ক মেসি যোগ করেছেন, ‘তার সঙ্গে সুন্দর যেসব মুহূর্ত কাটিয়েছি, সেগুলো আমি লালন করব এবং আমি তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তার আত্মা শান্তি পাক।’ ম্যারাডোনার নৈপুণ্যে মেক্সিকোর মাটিতে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও তিনি ছিলেন এক বর্ণময় চরিত্র। বুটজোড়া তুলে রাখার আগে ও পরে অসংখ্যবার তিনি জন্ম দিয়েছেন বিস্ময়ের ও বিতর্কের। তাই সবসময়ই ফুটবল অনুরাগীদের আলোচনার অনেকটা জুড়ে থাকতেন তিনি। ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাত ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। পাশাপাশি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ টুইটারে এক বার্তায় ম্যারাডোনাকে উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘আপনি আমাদের বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আপনি আমাদের অনেক আনন্দিত করেছেন। আপনি সর্বকালের সেরা ছিলেন। আমরা আপনাকে মিস করবো।’
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৫ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন এবং যুগে যুগে তাঁর ক্রীড়া নৈপুণ্য ভবিষ্যত ফুটবল খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী এই ফুটবল মহানায়কের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।