পিকে হালদারের পলায়নের ব্যাপারে ‘দেশ মগের মুল্লুক কি না’ হাইকোর্ট বিভাগের প্রশ্ন
দৈনিক সমসাময়িক প্রতিবেদন
১৯ নভেম্বর, ২০২০
বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা লোপাট করে বাংলাদেশ থেকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের পালিয়ে যাওয়ায়, ‘দেশ কি মগের মুল্লুক কিনা’ প্রশ্ন করেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। এ ছাড়া, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, হাইকোর্ট বিভাগ তাও জানতে চেয়েছেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, হাজার হাজার কোটি টাকার লোপাটের পর পিকে হালদার দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ‘যেন তিনি জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছেন। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ পিকে হালদারসহ কেউই আইনের ঊর্দ্ধে নয় বলে হাইকোর্ট বিভাগ উল্লেখ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত (সুয়োমুটো) হয়ে এ বিষয়ে আদেশ ও রুল জারি করেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগ।
এছাড়া, হাইকোর্ট বিভাগ একটি রুল জারি করে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গণ মাধ্যমকে জানান, গত ১৮ নভেম্বর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে পিকে হালদারের অর্থ জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ সব আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের কার্যক্রম চলাকালে উপস্থিত ছিলেন। খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছে এবং আদেশ দিয়েছেন। পিকে হালদার কোথায়, কীভাবে আছেন তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এর আগে, গত ২১ অক্টোবর দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে হাইকোর্ট বিভাগ নির্দেশ দেন।